অস্ট্রিয়াউচ্চশিক্ষা

অস্ট্রিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে অফার লেটার পাওয়ার পর করনীয়

Last updated on July 6th, 2021 at 07:59 pm

১। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সঃ

আপনি আপনার থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করবেন। আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্তয়িত হয়েই আসবে। যদি তা না হয় তবে আপনি করে নিবেন। তারপর অস্ট্রিয়ান কনস্যুলেট/এমব্যাসি থেকে ভেরিফিকেশন এবং সত্তয়ন করবেন।

২। জন্ম নিবন্ধনঃ

জন্ম নিবন্ধন ইংরাজিতে করে নিবেন(যদি ইংরেজিতে না থাকে)। তারপর নোটারি করে আইন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্তয়িত করবেন। সবশেষে অস্ট্রিয়ান কনস্যুলেট/এমব্যাসি থেকে ভেরিফিকেশন এবং সত্তয়ন করবেন।



৩। একুমোডেশনঃ

নিচের যে কোন লিংক থেকে নিতে পারবেন।
পরামর্শঃ আপনার ইউনিভার্সিটি যে এরিয়াতে সে এরিয়াতেই হোস্টেল বা বাসা নিবেন, এতে আপনার এপ্রোভাল এর ডিশিসান তাড়াতাড়ি পাবেন।
হোস্টেল এ টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করতে হবে। স্টুডেন্ট ফাইল এর ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক এক্সপার্ট ( আমার জানামতে )। স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করতে আপনাকে ব্যাংকে কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড, মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড ইত্যাদি দিয়েও টাকা পাঠাতে পারেন। হোস্টেল থেকে টাকা পরিশোধের পদ্ধতি/মাধ্যম জেনে নিবেন।



আমি নিচে একটা স্যাম্পল দিচ্ছি। কি কি ডকুমেন্টস লাগতে পারে স্টুডেন্ট ফাইল এর জন্য।

স্টুডেন্ট ফাইল ওপেনিং ডকুমেন্ট লিস্টঃ

Bank Account খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১। ১ কপি ছবি ( নিজের )
২। জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট এর ফটোকপি ( নিজের )
৩। একজন নমিনির জাতিয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি
৪। নমিনির নামে বিলের (বিদ্যুৎ, গাস) কপি, ব্যাবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স, চাকুরীজীবী হলে সেলারি সার্টিফিকেট এর ফটোকপি
৫। নমিনির ১ কপি ছবি
Student file খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১। এডমিশন লেটার
২। ২ কপি ছবি
৩। সকল সনদপত্র
৪। যেই ব্যাংক এ টাকা পাঠাবেন তার রিফান্ড পলিসি
৫। যেই বিষয় এ পড়বেন টার ব্যাপারে তথ্য, যেমন কত Semester, কত দিন লাগবে পড়তে
৬। এমব্যাসি র ভিসা Requirement পেজ, যেখানে টাকার পরিমান দেয়া আছে
৭। নতুন এবং পুরান পাসপোর্ট এবং তার ফটোকপি
একেক ব্যাংকে একেক ডকুমেন্টস চায়, তাই যে ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করবেন সে ব্যাংকের ওয়েবসাইট অথবা সরাসরি যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিবেন।

৪। ট্র্যাভেল মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স/হেলথ ইনস্যুরেন্সঃ

নিচের তালিকাভুক্ত যে কোন একটি থেকেই করতে পারেন।
  • Asia Pacific General Insurance Company Ltd.
  • Bangladesh General Insurance Company Ltd.
  • Bangladesh National Insurance Co. Ltd.
  • Central Insurance Company Ltd.
  • Delta Life Insurance Company Ltd.
  • Dhaka Insurance Company Ltd.
  • Eastern Insurance Company Ltd.
  • Eastland Insurance Company Ltd.
  • Green Delta Insurance
  • Jiban Bima Corporation
  • Mercentile Insurance Company Ltd.
  • Paramount Insurance Company Limited
  • Phoenix Insurance Company Ltd.
  • Pragati Insurance Limited
  • Prime Insurance Company Limited
  • Sadharan Bima Corporation
  • Sena Kalyan Insurance Company Ltd.
  • Sikder Insurance Company Limited
  • Sonar bangla Insurance Limited
  • United Insurance Company Ltd.



৫। এপোয়েন্টমেন্টঃ

এই লিঙ্ক থেকে অ্যাপ্লাই করুনঃ https://appointment.bmeia.gv.at/?Office=new-delhi

৬। ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ

ব্যাংক সল্ভেন্সি হিসেবে এমব্যাসি তে যাওয়ার আগে আপনাকে ৬,৪০৬.২ ইউরো অর্থাৎ প্রতি মাসে ৫৩৩.৮৫ ইউরো ( বয়স ২৪ এর কম হলে )/ ১১,৫৯৯.৮ ইউরো অর্থাৎ প্রতি মাসে ৯৬৬.৬৫ ইউরো ( বয়স ২৪ বা বেশি হলে ) দেখাতে হবে, ব্লক একাউন্ট নয় (আপডেট ২০১৮)। তবে আপনার হোস্টেল/বাসা ভাড়া যদি প্রতি মাসে ২৯৯.৯৫ ইউরো এর বেশি হয় সেক্ষেত্রে এই পরিমাণ আরও বেশি হবে ( কত হবে সেটা অস্ট্রিয়ান অথরিটি / এমব্যাসি বলে দিবে ) – আপডেট ২০২০। আর সে টাকা ভিসা পাওয়ার পর উঠিয়ে ফেলতে পারবেন। ( এইটা জানতে হলে আপনাকে এমব্যাসি অথবা অস্ট্রিয়ান অথরিটি এর কাছ থেকে জেনে নিতে হবে কারণ সুনির্দিষ্ট পরিমাণ লেখা নেই )

স্পন্সরঃ

যে কেউ হতে পারবে ( তবে নিজের পরিবারের কেউ হলে ভাল )। ব্যাবসায়িক হলে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স রিটার্ন পেপার আর ওনার একাউন্টে ৬ – ১২ মাসের ট্রানজেকশন । আর চাকরিজীবী হলে জব সার্টিফিকেট ( নাম, আইডি, বেতন ) উল্লেখসহ, বেতনের রশিদ গত ৬ – ১২ মাসের।

স্পন্সরশীপের সামর্থ্যঃ

স্পন্সরশীপের মাসিক/বাৎসরিক আয় ভাল থাকতে হবে এবং আর্থিক দিক থেকে যথেষ্ট সচ্ছল হতে হবে। স্পন্সর দাতার আয় এমন থাকা ভাল যেন তিনি তার পারিবারিক এবং মাসিক খরচপাতি চালানোর পরেও মাসে ১০০০ – ১১০০ ইউরো সঞ্চয় দেখাতে পারেন (যদি ব্যাংক একাউন্টে রাখা অর্থের পরিমাণ সাধারণত ৮০০০ – ৯০০০ ইউরো হয়), তবে ৯০০০ ইউরো এর বেশি হলে সেক্ষেত্রে খরচপাতির পরেও সঞ্চয়ের পরিমাণ আরও বেশি হলে ভাল সেটা নির্ভর করবে ব্যাংক একাউন্টে কত দেখাতে হবে সেটার উপর। স্পন্সরশীপ যদি চাকুরীজীবী হয়ে থাকেন তাহলে তাকে সাধারণত আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণস্বরূপ তার স্থায়ী চাকরি চুক্তি/কন্ট্রাক্ট পেপার দেখাতে হয়। চুক্তিপত্রের কপি (বা চাকরির সনদপত্র) এবং সর্বশেষ তিন থেকে ছয় মাসের বেতনের রসিদ দেখাতে হয়। আর যদি উনার নিজের ব্যাংক একাউন্টে বড় এমাউন্টের টাকা থাকে তাহলে সেটাও সাথে দিতে পারেন এবং ঐ একাউন্টের শেষ ৬ মাসের ব্যাংক বিবৃতি (ব্যাংক স্টেটমেন্ট) দিতে পারেন।
অপরদিকে স্পন্সরদাতা যদি ব্যবসায়িক হয়ে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে দেখাতে হবে যে, প্রতি (১) বছরের ব্যবসায়িক লেনদেনের পরেও তার স্পন্সরশীপ হবার যথেষ্ট আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে। উনার ব্যাবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স রিটার্ন পেপার অর্থাৎ ব্যাবসায়িক খাতে দেওয়া ট্যাক্স পরিশোধের রসিদ ও ব্যাবসায়িক খাতে লেনদেন করার ব্যাংক স্টেটমেন্ট (ব্যাবসায়িক ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট) দিতে হবে। আর যদি উনার নিজের ব্যাংক একাউন্টে বড় এমাউন্টের টাকা থাকে তাহলে সেটাও সাথে দিতে পারেন এবং ঐ একাউন্টের শেষ ৬ মাসের ব্যাংক বিবৃতি (ব্যাংক স্টেটমেন্ট) দিতে পারেন।



ফাইল সেকশনে অস্ট্রিয়ান এমব্যাসি এর ডকুমেন্টস চেক লিস্ট এর একটা ফাইল আছে। বিস্তারিত ওখান থেকে দেখে নিবেন। 

লেখকঃ মেহেদী হাসান

ফেসবুক মন্তব্য
Mahedi Hasan
 
শেয়ার করুনঃ

Mahedi Hasan

স্বপ্নবাজ ও ভ্রমণপিপাসু একজন মানুষ। নতুন কিছু জানতে ও শিখতে ভালো লাগে। নিজে যা জানি তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। বর্তমানে জার্মানিতে পড়াশোনা করছি।আমার সম্পর্কেঃ http://www.hmahedi.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + 6 =

Upcoming Events