প্রবাস জীবনভাষা

Europe-এর বিভিন্ন ভাষার পরিচিতি!!!

Europe-এর বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা কিংবা Settlement অথবা চলাফেরার ক্ষেত্রে Language একটি প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে, আজকে তাই এ Post-এ আমি Europe এর বিভিন্ন দেশের Language নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা তুলে ধরবো।
Undoubtedly English বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষা এবং সারা পৃথিবীতে English মোটামুটিভাবে বলতে গেলে সবার দ্বারাই প্রধান একটি আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আজকের এ যুগে টিকে থাকতে হলে English-এ দক্ষতা অর্জন ব্যতিরেকে কোনও বিকল্প নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব সময় পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে Great Britain এবং France শক্তিশালী দুইটি পরাশক্তির রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত কোনও পরাশক্তিকে নিরূপণ করা হতো তাঁর অধীনে থাকা Colony-গুলোর ওপর ভিত্তি করে। যাঁর অধীনে যতো বেশী Colony থাকতো সে ততো বেশী শক্তিশালী সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসেবে বিবেচিত হতো। এ দিক থেকে বলতে গেলে Great Britain ছিলও প্রতিদ্বন্দ্বী France থেকে অনেক এগিয়ে এবং বলা হতো “The British Empire is such an empire where the sun never sets” পুরো পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশী তাঁরা তাঁদের Colony-ভুক্ত করতে পেরেছিলো, এমনকি Australia, South Africa, New Zealand-সহ United States of America কিংবা Canada-এর মতো দেশের বেশীরভাগ অঞ্চলই তাঁদের অধীনে ছিলো। Great Britain-এর সাধারণ মানুষের ভাষা English. তাই তাঁদের হাত ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইংরেজি ভাষার প্রচলন হয় এবং English International Language-এর রূপ পায়। আজকের পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রভাবশালী পরাশক্তির রাষ্ট্র United States of America. আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, গবেষণা, উন্নত শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা, সামরিক শক্তি থেকে আরম্ভ করে প্রায় সকল ক্ষেত্রে এ দেশটির নাম উচ্চারিত হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সে অর্থে Great Britain-এর প্রভাব কমে আসলেও United States of America-এর বদৌলতে International Language হিসেবে English এর অবস্থান আরও পাকাপোক্ত হয় এবং আজকের দিনে Internet এবং Technology এর কারণে এখন English সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। United States of America-এর ভাষা English, যদিও বলা হয় United States of America তৈরী হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে Europe থেকে আসা Immigrant-দের হাত ধরে কিন্তু দীর্ঘ দিন United States of America-এর বেশীর ভাগ অঙ্গরাজ্য জুড়ে Great Britain-এর শাসন প্রতিষ্ঠা থাকায় সে United States of America-তে English প্রধান ভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। England পরবর্তীতে Ireland, Wales এবং Scotland-এ তাঁদের প্রভাব বিস্তার শুরু করলে এ সকল জায়গা থেকে তাঁদের নিজস্ব ভাষার প্রচলন অনেকটা রহিত হয়ে যায় এবং এক সময় এ সকল অঞ্চলেও প্রধান ভাষা হিসেবে English প্রতিষ্ঠা লাভ করে, পরবর্তীতে England, Ireland, Wales এবং Scotland মিলে “Great Britain“ গঠন করে যদিও পরবর্তীতে খুব সম্ভব 1992-সালের দিকে Ireland থেকে একটা অংশ গণভোটের মাধ্যমে আলাদা হয়ে “Republic of Ireland“ নামে আলাদা রাষ্ট্র গঠন করে যদিও Northern Ireland সে সময় Great Britain-এর অধীনে থেকে যায়। এছাড়াও Malta, Cyprus, Gibraltar এ সকল দেশেও Great Britain-এর Colony থাকায় এসকল দেশে তাঁদের নিজস্ব ভাষার পাশাপাশি English-এর প্রচলন ঘটেছে এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে এ সকল দেশ এখনও England এর মতো “Left Hand Traffic Rule“ Follow করে অর্থাৎ এ সকল দেশেও রাস্তার বাম দিক থেকে Vehicle চালানো হয়।



English মূলতঃ একটি Germanic Language. তবে বিভিন্ন সময়ে English-এ Latin বিভিন্ন ভাষা বিশেষ করে French এবং মাঝে মধ্যে Greek-দের ভাষারও প্রভাব দেখা যায়, এর পেছনে বিভিন্ন ঐতিহাসিক মতামত রয়েছে। কেউ কেউ বলেন যে Catholic Christianity প্রচারের উদ্দেশ্যে যখন ধর্মগুরুর পদচারণা বাড়তে থাকে Great Britain-এ তখন তাঁদের হাত ধরে Latin ভাষার একটা প্রভাব English-এ চলে আসে, অনেকে আবার বলেন যে France থেকে Norman-রা যখন প্রবল হারে England-এ বসতি স্থাপন করতে শুরু করে তাঁদের হাত ধরেই ইংরেজিতে Latin Language বিশেষ করে French এর একটা বড় প্রভাব English-এ চলে আসে। অনেকে আবার “Roman Empire”-কেও এর কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা দিতে চান। তাই Germanic ভাষাগোষ্ঠীর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও English-এ এখন পুরোপুরি Germanic ছাপ আর নেই, Latin এবং Greek-একটা বড় প্রভাব আজকের দিনের English-এ প্রবলভাবে লক্ষ্য করা যায়।
Germany, Austria এবং Switzerland-এর একটা অংশের মানুষের প্রধান ভাষা German যা স্থানীয় ভাষায় “Deutsche” নামে পরিচিত। German Germanic ভাষাগোষ্ঠীর সদস্য, German ছাড়াও Faroese (Denmark-এর অধীনে থাকা Faroe Island-এর মানুষের প্রধান ভাষা), Swedish, Dutch, Luxembourgish, Norwegian, Danish, Icelandic এসকল ভাষাও Germanic ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত। Netherlands ছাড়াও Belgium-এর একটি অংশের মানুষ Dutch ভাষায় কথা বলে থাকেন তবে Belgium-এ Dutch-কে Flemish নামে ডাকা হয় এবং Flemish ভাষায় French ভাষার প্রভাব রয়েছে। ভৌগোলিকভাবে English, German, Dutch এবং Luxembourgish “West Germanic Language” নামে পরিচিত Swedish, Danish, Faroese, Icelandic, Norwegian “North Germanic Language” নামে পরিচিত। East Germanic Language গোষ্ঠীর অন্তর্গত কোনও ভাষা এখন আর বেঁচে নেই।



English এর পর মানুষ যে ভাষাটি সবচেয়ে বেশী শিখে থাকে সেটা হচ্ছে French বা Français. France-এর সাধারণ মানুষের প্রধান ভাষা French. France ছাড়াও Africa-এর কিছু দেশ, Belgium (মূলতঃ Wallonia), Switzerland ও Luxembourg এর একটি বড় অংশ এবং Canada-এর Québec-এর মানুষ French ভাষায় কথা বলে থাকেন। English-এর মতো French-ও Canada-এর Official Language. এছাড়াও North America, South America, Oceania এমনকি Asia-এর কিছু দেশেও French ভাষার প্রচলন আছে কেননা Great Britain-এর মতো পৃথিবীর অনেক দেশ এমনকি আমাদের এ ভারতীয় উপমহাদেশের পন্ডিচেরিতেও তাঁদের Colony ছিলো। French, Italian, Spanish, Catalan (Spain-এর অন্তর্গত Catalonia নামক অংশের মানুষের ভাষা), Portuguese এ ছয়টি ভাষা হচ্ছে Latin Language Family-এর অন্তর্গত, এদেরকে Latin Language বলা হয়। Italy-এর সাধারণ মানুষের ভাষা Italian. Spain এর সাধারণ মানুষের ভাষা  Spanish. তবে United States of America-এর কিছু অংশেও Spanish ভাষার প্রচলন রয়েছে, এছাড়াও Mexico ও Central America-সহ South America-এর অনেক দেশের মানুষের প্রধান ভাষা Spanish বা Español. এ সকল দেশ এক সময় Spain-এর Colony-ভুক্ত ছিলো। আবার Portugal ছাড়াও Brazil এবং আফ্রিকার বেশ কিছু দেশের মানুষ Portuguese ভাষায় কথা বলে থাকে। শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও সত্য France, Portugal, Spain, Italy-এর থেকে অনেক দূরে অবস্থিত একটি দেশ Romania এবং Romania-এর সাধারণ মানুষ যে ভাষায় কথা বলে অর্থাৎ Romanian একটি Latin Language. Vulgar Latin অর্থাৎ Latin ভাষা আস্তে আস্তে পরিবর্তিত হয়ে এ সকল Language এর জন্ম হয়েছে, তাই এ সকল Language-কে “Romance Language”-ও বলা হয় কেননা এ সকল ভাষা শুনতে অনেকের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়। France,  Portugal, Spain, Italy-এর থেকে বিশাল দূরে অবস্থিত Romania এর ভাষা কীভাবে Latin ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত হলো সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে যেখানে Romania-এর চারিদিকে একমাত্র Hungary ছাড়া সকলে Slavic, অনেকে মনে করেন যে Eastern Roman Empire-এর পতন ঘটলেও সুউচ্চ Carpathian পর্বতমালার কারণে সেখানে Eastern Roman Empire-এর অধীনে থাকা Troops-রা থেকে যায় এবং তাঁদের মাধ্যমে দেশটিতে Latin Language-এর প্রচলন ঘটে যদিও এ মতামতের কোনও গ্রহণযোগ্য ভিত্তি নেই কেননা Romania-এর বেশীর ভাগ মানুষ Orthodox Christianity-তে বিশ্বাস করে, Catholic Christianity নয়। তবে চারিদিকে Slavic ভাষাগোষ্ঠীর দেশ দ্বারা আচ্ছাদিত থাকায় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীতে Soviet Union-এর প্রভাবের জন্য Romanian Language-এ Slavic ভালসাগুলোর একটা প্রভাব প্রতিষ্ঠা পায়, বেশীর ভাগ মানুষের মতে অন্যান্য যে কোনও ভাষার থেকে Latin ভাষাগোষ্ঠীর যে কোনও ভাষা না কি অনেক সহজে শিখা যায়। French Latin ভাষাগোষ্ঠীর অন্যান্য ভাষা থেকে একটু আলাদা, French এর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে উচ্চারণ এবং লিখিত রূপ অনেক সময় এক হয় না, যেমনঃ আমরা লিখার সময় লিখি Fois Gras কিন্তু উচ্চারণ করার সময় ফোয়াগ্রা, তবে Latin ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত ভাষাগুলোর ক্ষেত্রে একটি বড় সুবিধা হচ্ছে শুধু শুনেই আপনি এ সকল ভাষা অনেকখানি শিখে ফেলতে পারবেন।
Greece-এর মানুষের প্রধান ভাষা Greek. Greek এ পৃথিবীর পুরোনো ভাষাগুলোর মধ্যে একটি যা আমরা অনেকেই জানি, Socrates, Plato, Aristotle, Archimedes, Euclid, Homer, Pythagoras, Ptolemy, Aristarchus এদের নাম শুনে নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, সেই সাথে আমরা প্রাচীন Greece সম্পর্কেও একটা ধারণা লাভ করতে পারি সে সময় যে দেশটি ছিলো জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার জন্য একটি আদর্শ স্থান। Greek-দের ভাষার মতো তাঁদের Alphabet-গুলো অনেক পুরোনো।
Russia, Czech Republic, Poland, Ukraine, Belarus, Serbia, Slovenia, Slovakia, Croatia, Montenegro, Macedonia, Bosnia and Herzegovina, Bulgaria এ সকল দেশের বেশীর ভাগ মানুষই Slavic জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং এ কারণে তাঁদের ভাষাও Slavic ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত, Ukrainian, Russian এবং Belarusian এ তিনটি ভাষাকে Eastern Slavic Language, Polish, Czech, Slovak-এ তিনটি ভাষাকে Western Slavic Language এবং Slovenian, Bulgarian, Macedonian, Bosnian, Serbian, Montenegrin, Croatian এ ছয়টি ভাষাকে Southern Slavic Language বলা হয়। আমাদের জন্য Slavic ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত যে কোনও ভাষাকে আয়ত্ত্ব করা কঠিনই বলতে হবে।



Hungary-এর সাধারণ মানুষের ভাষা Hungarian, Finland-এর সাধারণ মানুষের ভাষা Finnish, Estonia-এর সাধারণ মানুষের ভাষা Estonian. এ তিনটি ভাষাই Uralic ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত, Finnish এবং Estonian কাছাকছি হলেও Hungarian এ দুইটি ভাষা থেকে আলাদা এবং Europe-এর অন্য কোনও ভাষার সাথে Albanian কিংবা Hungarian ভাষার মিল্ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর বলতে হবে। Hungarian, Finnish, Estonian এ তিনটি ভাষাও যে কোনও মানুষের পক্ষে আয়ত্ত্বে আনা অনেক কঠিন এবং অনেকের মতে Chinese (Mandarin) এর পর পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন তিনটি ভাষা হচ্ছে Hungarian, Finnish এবং Estonian. Uralic হলেও Hungarian-দের ভাষায় Turkish/Uzbek-দের ভাষার প্রভাব রয়েছে বিশেষ করে Hungarian এবং Turkish কিংবা Uzbek Grammar-এর অনেক মিল্ খুঁজে পাওয়া যায়। অনেকে বলে  থাকেন যে Hungarian-দের পূর্ব পুরুষ এসেছে “Hun” নামক একটি জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের থেকে। “Hun”-নামক মঙ্গোলয়েড জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের বসবাস ছিলো Uzbekistan কিংবা Kazakhstan এর কোনও এক পাহাড়ী অঞ্চলে যাঁরা জাতি হিসেবে খুবই দুধর্ষ ছিলো। অত্যাচারী ছিলো। Hun-দের ভাষা ছিলো আদি Turkish ভাষার মতো এবং এ কারণে এখনও Uzbekistan, Kazakhstan কিংবা Turkish ভাষার সাথে Hungarian-দের ভাষার মিল খুঁজে পাওয়া যায়। Hungarian Grammar এর অনেক অংশ পুরোপুরি এ সকল ভাষার সাথে মিলে যায়; Hungary-এর Founding Father এর নাম “Attila” যিনি প্রথম এ ভূখণ্ডে পা রেখেছেন বলে Hungarian-রা দাবি করে থাকেন। “Attila” এখনও Uzbekistan কিংবা Kazakhstan এমনকি Turkey-তেও অনেক মানুষের এর একটি জনপ্রিয় নাম। Hungarian-রা এ দাবি যদিও স্বীকার করবে না কখনও তবে Hungarian-রা দেখতেও ইউরোপের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের থেকে আলাদা। ঐতিহাসিকভাবে এ দাবির সত্যতা এখন পর্যন্ত পুরোপুরি যাচাই করা সম্ভব হয় নি।
Albania ছাড়াও Kosovo এবং Macedonia-এর একটি বড় অংশের মানুষের ভাষা Albanian. Albanian Europe-এর অন্যান্য ভাষা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং Albanian-দের অতীত সম্পর্কে খুব বেশী কিছু জানা না যাওয়ায় তাঁদের ভাষা নিয়েও খুব বেশী একটা মন্তব্য করা যায় না। তবে অনেক ঐতিহাসিক ধারণা করেন Albanian-রা Illyrii জাতিগোষ্ঠীর বংশধর যদিও এ সকল Illyrii জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের নিয়েও খুব বেশী জানা যায় না। 1908-সালে Albania-এর স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় প্রথম এ ভাষাকে লিখিত রূপ দেওয়া হয় Latin হরফগুলোর অনুকরণে।
Latvia-এর সাধারণ মানুষের ভাষা Latvian এবং Lithuania-এর সাধারণ মানুষের ভাষা Lithuanian. Latvian এবং Lithuanian এ দুইটি ভাষা Baltic Language নামে পরিচিত এবং আজকের দিনে এ দুইটি ভাষাই Baltic ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত শেষ দুইটি জীবিত ভাষা, অনেক ভাষাবিদের মতে এ পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন ভাষাগুলোর মধ্যে এ দুইটি ভাষা অন্যতম এবং এ দুইটি ভাষা না কী সংস্কৃত ভাষা থেকেও পুরোনো।
Malta-এর মানুষের সাধারণ ভাষা Maltese. Maltese মূলতঃ একটি Semitic Language যেখানে Latin বিশেষ করে Italy-এর ভাষা এবং আরবি ভাষার প্রভাব রয়েছে।
Turkey-এর সাধারণ মানুষের ভাষা Turkish. Turkish ভাষাতে আরবি এবং ফারসি ভাষার প্রভাব রয়েছে যদিও Turkish ভাষাকে Turkic ভাষাগোষ্ঠীর সদস্য তালিকায় ফেলা হয়।Turkey-এর , আশেপাশে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ যেমনঃ Azerbaijan, Kazakhstan, Kyrgyzstan, Tajikistan এ সকল দেশের মানুষের ভাষাও Turkic Language Family-এর অন্তর্গত, এমনকি চীনের উইঘুর মুসলিমরাও যে ভাষায় কথা বলেন সেটিও Turkic Language Family-এর অন্তর্গত একটি ভাষা। এক সময় এ সকল ভাষা Arabic কিংবা Persian Script-এ লিখা হতো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর Soviet Union-এর অধীনে আসার পর Azerbaijan, Kazakhstan, Kyrgyzstan, Tajikistan এ সকল দেশের মানুষ বাধ্য হয়ে তাঁদের ভাষা লিখার জন্য Cyrillic Script-এর প্রচলন ঘটায় এবং নব্বইয়ের দশকে Soviet Union ভেঙ্গে গেলে অনেক দেশ পরে পশ্চিমা দেশগুলোর অনুকরণে Latin Script-এর ব্যবহার শুরু করে আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মোস্তফা কামাল Turkey-এর President হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর আরবি কিংবা Persian হরফের পরিবর্তে Latin হরফে Turkish লিখার প্রচলন করেন, এ সময় তিনি French, English-সহ ইউরোপের অনেক ভাষা থেকে বহু শব্দ Turkish ভাষায় প্রবেশ ঘটান জাতিগতভাবে Arab-দের থেকে Turkish-দের দূরত্বকে বৃদ্ধি করার জন্য।



Roman Emperor-দের প্রভাবে একটা সময় Europe-এর প্রায় সকল দেশে Catholic Christianity-এর প্রভাব বাড়তে থাকে এবং এ কারণে ইউরোপের প্রায় সকল ভাষায় আস্তে আস্তে Latin script-এ লিখা শুরু হতে থাকে। Rome যখন পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিলো তখন Europe মহাদেশের প্রায় সকল দেশে Roman Empire-এর শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। তবে Icelandic ভাষা এখনও আদি Germanic Script ধরে রেখেছে, কারণ Iceland একটি দ্বীপ রাষ্ট্র এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে ভৌগোলিকভাবে Iceland অনেকটা বিচ্ছিন্ন। Orthodox Christian ধর্মযাজক Cyril এবং Methodius Greek Alphabet দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন এক Script-এর প্রবর্তন করেন যা “Cyrillic Script” নামে প্রতিষ্ঠিত হয় পরবর্তীতে। Greece-এর বেশীর ভাগ মানুষ Orthodox Christianity-তে বিশ্বাসী। Greece-এর মতো Russia, Bulgaria, Macedonia, Montenegro, Ukraine, Belarus, Serbia এ সকল দেশের বেশীর ভাগ মানুষ Orthodox Christian ধর্মালম্বী হওয়ায় তাঁরা তাঁদের ভাষাকে লিপিবদ্ধ করতে এ Cyrillic Script ব্যবহার করতে শুরু করে, Romania-তেও এক সময় Cyrillic Script-এর প্রচলন ছিলো কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এসে তাঁরা Latin Script-এ Switch হয়।  Serbia-তে Latin এবং Cyrillic এ দুই ধরণের Script-এরই প্রচলন থাকলেও সাধারণত অফিস-আদালতে Cyrillic Script-এর প্রচলন বেশী হয়ে থাকে।
আবার German কিংবা Italian ভাষায় অসংখ্য Dialect দেখা যায়, Germany-এর মূল ভূখণ্ডে যাঁরা বসবাস করেন তাঁদের পক্ষে Austrian-দের German বোঝা সম্ভব হলেও Switzerland অথবা Liechtenstein-এর German বুঝতে পারাটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, এমনি Germany-এর Bavaria-তে যে ধরণের German প্রচলিত Hamburg অথবা Berlin-এ ব্যবহৃত German তার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা, এমনকি Switzerland-এর Zürich-এ যে ধরণের German প্রচলিত Bern-এর কিংবা Basel-এর মানুষের German বলার Style সম্পূর্ণ আলাদা, ঠিক তেমনি Vienna-তে যাঁরা বসবাস করেন তাঁরা যে Style-এ German বলে থাকেন Innsbruck কিংবা Salzburg-এ গেলে অনেকে তাঁদের German বুঝবেনই না। অনুরূপভাবে Italy-এর বিভিন্ন স্থানে যেমনঃ Naples কিংবা Sicily-তে মানুষ যে ধরণের Italian ব্যবহার করেন Gorizia, Rome কিংবা Milan-এ Italian বলার style সম্পূর্ণ আলাদা, অনেকে বলে থাকেন আমার যাঁরা পরিচিত আছে Italian যে তাঁদের বাড়ি থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে গেলেই অনেক সময় অনেকের Italian বুঝা কঠিন হয়ে যায়। এক ভাষায় এতো বিচিত্র Variation. এর কারণে Italy কিংবা Germany এক সময় আজকের দিনের মতো United Country ছিলো না, বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিলো এবং পরবর্তীতে Gariboldi Italy-কে আজকের মতো United একটি Country হিসেবে গড়ে তোলেন। UNESCO-এর জরিপে Italian কিংবা German-এর অনেক Dialect আলাদা ভাষা হিসেবে স্বীকৃত। Italian এবং German এ দুইটি ভাষাকে সবচেয়ে বেশী বৈচিত্র্যসম্পন্ন অসংখ্য Dialect-এর ভাষা হিসেবেও অনেকে অবিহিত করে থাকেন।
আজ তাহলে এ পর্যন্ত।
সকলে সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ্ হাফেজ!!!
ফেসবুক মন্তব্য
 
শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + twelve =

Upcoming Events